ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়িতে বাচ্চু কাজীর নেতৃত্বে এক কলেজ ছাত্রী ও ২স্কুল ছাত্রীসহ ৫জনকে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।গুরুতর আহত ভূক্তভোগীরা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। থানায় অভিযোগকারী নজরুল ইসলাম কাজীর লিখিত অভিযোগটি নিন্মরূপ। বিনীত নিবেদন এই যে, আসামীরা দুষ্ট, দুর্দান্ত, পরবিত্ত লোভী, সন্ত্রাসী, দাঙ্গা-হাঙ্গামাকারী প্রকৃতির লোক বটে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম আসামীদের নেশা ও পেশা বটে। আমি বাদী উপস্থিত হইয়া এই মর্মে এজাহার দাখিল করিতেছি যে, আসামীদের সাথে আমাদের জায়গা জমি, বাড়ি, বাগান নিয়া দীর্ঘদিন ধরিয়া বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। আমি জনবলহীন। আসামীরা জনবলে বলীয়ান বিধায় প্রায় সময়ই আমার বাগানের ফসলাদি, গাছপালা কাটিয়া নিয়া যায়। আমার জায়গা অবৈধ দখলের জন্য ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল ও নিজেরা শক্তি ক্ষমতা প্রয়োগ করে। বিগত ১৬/০৯/২০২৪ ইং তারিখ বেলা ১২:৩০ ঘটিকার সময় ১,২,৩ ও ৪নং আসামীর নেতৃত্বে অপরাপর আসামীরা দা, ছেনী, বগি দা, লোহার রড, লোহার শাবল লইয়া আসিয়া আমার বাগানের জোরপূর্বক সুপারি পারা শুরু করে। আমি বাড়িতে না থাকায় ১নং স্বাক্ষী আমার ভাই, ২নং স্বাক্ষী, ৩নং স্বাক্ষী ঘটনাস্থলে যাইয়া আমার বাগান হইতে সুপারি পারিয়া নেয়ার কারন জিজ্ঞাসা করিলে ১নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত ১নং স্বাক্ষী ফিরাইতে গেলে বাম হাতের বাহুতে লাগিয়া বাম হাতের বাহু ভাঙ্গিয়া যায়। ২নং আসামীর হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়া ১নং স্বাক্ষীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত ঘাড়ে লাগিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং স্বাক্ষী ১নং স্বাক্ষীকে রক্ষা করিতে আসিলে ৩নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া ২নং স্বাক্ষীকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে উক্ত আঘাত ঘাড়ে সিনায় লাগিয়া ২নং স্বাক্ষী মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। ৪নং আসামীর হাতে থাকা গাবের লাঠি দিয়া ৩নং স্বাক্ষীকে কোমরে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং স্বাক্ষী ১নং স্বাক্ষীকে রক্ষা করিতে আসিলে ৫নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করিলে উক্ত আঘাত সমস্ত শরীরে লাগিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। ৫নং স্বাক্ষীকে ১নং আসামী লোহার রড দিয়া আঘাত করিয়া মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এই সময় ১নং আসামী ২নং স্বাক্ষীর গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য ৭০,০০০/- টাকা নিয়া যায়। ২নং আসামী ২নং স্বাক্ষীর কান হইতে ৪ আনা ওজনের একখানা ঝুমকা মূল্য ২৫,০০০/- টাকা নিয়া যায়। ৪নং আসামী ৩নং স্বাক্ষীর হাতে থাকা টাচ মোবাইল মূল্য ১২,০০০/- টাকা নিয়া যায়। ৫নং আসামী ৪নং স্বাক্ষীর টাচ মোবাইল মূল্য ২২,০০০/- টাকা নিয়া যায়। স্বাক্ষীদের ডাক চিৎকারে অপরাপর স্বাক্ষী এবং লোকজন আসিলে আসামীরা স্বাক্ষীদেরকে হত্যা খুন জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়।উপরোক্ত বিষয়টি নিয়মিত এজাহার হিসাবে গ্রহণ করিতে বাদী দরখাস্তকারী অত্র আবেদন করিলেন।