ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলার শিবপুরে মিছিল নিয়ে মিটিংএ যাবার সময় বিএনপি কর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে দূবির্ত্তরা। এ ব্যাপারে আহতের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আহত ভূক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখ বিকেল ৪টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজারে ভোলা জেলা বিএনপির উদ্যোগে আসন্ন দূর্গা পুজায় সংখ্যালগুদের নিরাপত্তা বিষয়ক এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা আসিফ আলতাফ।
এসময় এ আলোচনা সভাকে প্রাণবন্ত করার লক্ষে শিবপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন বেশ কিছু মিছিল সহ লোকজন সমবেত হতে থাকে। তেমনি শিবপুর ৬নং ওয়ার্ডে থেকে বিএনপি কর্মী মঞ্জুর নেতৃত্বে একটি মিছিল রতনপুর বাজারের আলোচনা সাভায় যোগ দিতে রওয়ানা করে গার্স স্কুল এলাকায় পৌছলে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিছিলে নেতৃত্বদানকারী মঞ্জুর উপর অতর্কিত হামলা চালায়, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন হালাদারের ভাতিজা ও মৃত রুহুল আমিন হাওলাদারের ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রের মূল হোতা নোমানের নেতৃত্বে মহাসিন, মারুফ, নিরব, সাদ্দাম, মিলন, রিপন, খায়ের হোসেন, সোহাগ, রুবেল, মফিজ, মামুন পিতা কালা সিরাজ, মামুন পিতা শাজাহানসহ এক দল সন্ত্রাসী।
জানাগেছে, এসময় সন্ত্রাসীরা মঞ্জুকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, গত ৩দিনেও মঞ্জুর অবস্থার উন্নতি না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে তাকে রেফার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে আরো জানাগেছে, সন্ত্রাসীদের হামলায় মঞ্জুর বুক ও মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। এ মুহুর্তে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।
মঞ্জুর পরিবার সূত্রে জানাগেছে, টাকার অভাবে তারা মঞ্জুকে ভালো কোন চিকিৎসা করাতে পারেনি। তবে মঞ্জুর এ খবর শুনে, শিবপুর ইউনিয়নের মধ্য রতনপুর ৮নং ওয়ার্ডের ঢাকার ব্যবসায়ী বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও দানবীর মোঃ পারভেজের সহযোগীতায় এ কদিন চিকিৎসা চেলেছে এবং মঞ্জুকে বরিশালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ও পারভেজ নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয়, আমির হোসেন, আবুল কাশেম, ওমর ফারুক, আবদুল ওয়াদুদ ও মোঃ রুবেল জানান, রতনপুর বাজারের আসিফ আলতাফের মিটিং এ মঞ্জু স্থানীয় লোকজনসহ মিছিল নিয়ে আসুক এটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর হোসেন হালাদার ও তার সন্ত্রাসী ভাতিজা নোমান চায়নি। নোমান আওয়ামী সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহনীদের সাথে নিয়ে মঞ্জুর উপর হামলা চালিয়েছে। একমাত্র মঞ্জুকে জন বিচ্ছিন্ন করার উপদ্দেশ্যে নুর হোসেন হাওলাদারের ইশারায় তার ভাতিজা নোমান ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ভোলা জেলা বিএনপি নেতা ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেণ, আহত ভূক্তোভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা।