ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ
হাবিব সরকার স্বাধীন
খিলক্ষেত বাজার কুরবানি পশুর হাটগুলো গরু-ছাগল- মহিষসহ বিভিন্ন কুরবানি যোগ্য পশুতে ভরে উঠেছে। স্বল্পপরিসরে বিক্রিও শুরু হয়েছে। পুরোপুরি জমে ওঠেনি।খিলক্ষেত বাজার পশুর হাট। মঙ্গলবার থেকে বিক্রি পুরোপুরি জমে উঠছে এমনটাই আশা করছেন হাটের ইজারাদার ও বিক্রেতারা। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ইজারার নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে হাট শুরু হয়। এসব হাটের সার্বিক তদারকির জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইজারাদার কমিটি নেতৃবৃন্দরা।মাঠে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড ব্রিজের নীচ থেকে ফুট সড়ক বনরুপা নামে পরিচিত। এক্সপ্রেসওয়ের নীচে এই হাট। খিলক্ষেত বাজার সহ এলাকায় অস্থায়ী কুরবানি পশুর হাট বসেছে। কুরবানির কেতা গ্রাহকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কুরবানির পশুর হাটের ইজারাদার /ক্লাসিক ও ট্রোড ইন্টারন্যাশনাল। প্রোপাইটার হাবিবুর রহমান( রাব্বু)ও পরিচালনায় আমজাদ হোসেন (জিসান) মনসুর আহমেদ (মাসুদ) বলেন দেশের সব এলাকা থেকে ট্রাকে পশু নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। স্থানীয় কিছু লোকজন হাটে এসেছেন গরু দেখতে। এর মধ্যে আমাদের হাট জমজমাট গরু ছাগল বিক্রিও হচ্ছে। নেত্রকোনা সদর থেকে ১৪টি গরু এনেছেন আব্বাস মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি জানান, গত বছরও হাটে এসেছিলেন। এবার খিলক্ষেত হাট খুব চমৎকার আকারে সাজানো দেখে খুবই আনন্দিত আমরা।কুষ্টিয়া লতিফ মিয়া এক ট্রাকে ১৫টি গরু এনেছেন। তবে এখানে গরু বিক্রি ৫ করেছি। অন্যান্য হাটে ঘুরে দেখা যায়। রাজধানীর হাজারীবাগে দেশি গরু উঠেছে অনেক তবুও গ্রাহক নেই। উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে মাঝারি থেকে বড় আকারের গরু। তবে লাগাতার বৃষ্টির দাপটে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। হাটে এসেছেন অনেক ব্যাপারী।
সরেজমিন দেখা যায়।রংপুরের পীরগাছা থেকে হাজারীবাগ হাটে আসা হায়দার বলেন, ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে কত হাটে গেছি । কিন্তু এই খিলক্ষেত হাটে আমি প্রথম আইছি।এবার ৩৭টি গরু এনেছি, দাম ৭০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা।
ঝিনাইদহের ছন্টু ব্যাপারী বলেন, তিন বছর ধরে লালনপালন করা একটি গরু এনেছি। তিন লাখ টাকা হলে বিক্রি করব। ক্রেতা আসছে না বৃষ্টির কারণে। কেউ কেউ অল্প দাম বলে চলে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, এখানে নজর কাড়ছে দেশি শাহিওয়াল, ব্রাহামা, নেপালিসহ ভারতীয় বৈল জাতের বড় বড় গরু। পাশাপাশি রয়েছে ২ থেকে ৪ দাঁতওয়ালা ছোট-মাঝারি গরু। মিরপুর প্রতিনিধি জানান, রাজধানীর গাবতলী কুরবানির হাটের ছাউনিগুলো পশুতে ভরে উঠেছে। একের পর এক ট্রাকভর্তি পশু গাবতলীতে ঢুকছে। আরও নতুন শেড তৈরির কাজ চলছে। গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে এখানে। ব্যাপারীরা বৃষ্টি আর কাদাপানির মধ্যে গরু খুঁটিতে বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। ২ মন ওজনের গরু ৬৫ থেকে ৭০ হাজার এবং ৪ মন ওজনের গরু ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১ নাম্বারের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে হাট ঘুরে দেখছি। আগে দাম একটু বেশি মনে হলেও এখন কমছে।