:
শিরোনাম

এই জয়ে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

top-news
https://maannews.acnoo.com/public/frontend/img/header-adds/adds.jpg

টেস্ট সিরিজ ড্র করলেও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তবে সফরের শেষটা স্বস্তি নিয়ে শেষ করেছে টাইগাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই জয়ে ৬ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার।

টসে হেরে আগে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১২৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটি খুব একটা বড় নয়। স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের দরকার ছিল বল হাতে ভালো শুরুর। মাঝারি এই পুঁজি নিয়ে সেই কাজটিই দুর্দান্ত করেছে টাইগার বোলাররা। প্রথম দুই ওভারে উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জোড়া শিকার ধরেন তাসকিন। ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে ফিরিয়েছেন ব্রান্ডন কিং (৫ বলে ৮) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে (৪ বলে ০)। পরের ওভারে মারকুটে জনসন চার্লসকে (১২ বলে ১৫) এলব্ডিব্লিউর ফাঁদে পেলেন শেখ মেহেদী।

চতুর্থ ওভারে জনসন চার্লসকে (১৪) এলবিডব্লিউতে ফেরান শেখ মাহেদি। এরপরেই স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নিকোলাস পুরান (৫)। স্বস্তি নিয়েই পাওয়ারপ্লে শেষ করে সফরকারীরা। আগের ওভারেই রোভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ ছাড়েন সৌম্য সরকার। কিন্তু পরের ওভারে কোনও ভুল হয়নি মিরাজের। হাসান মাহমুদের দারুণ ডেলিভারিতে তালুবন্দি হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। শূন‍্য রানে জীবন পাওয়া পাওয়েল ৭ বলে এক চারে করেন ৬। 

ক্যারিবিয়ানদের উইকেট শিকারের মিছিলে যোগ দিয়েছেন পেসার তানজিম হাসানও। ৮.৩ ওভারে নতুন ব্যাটার রোমারিও শেফার্ডকে ক্যাচ আউটে ফিরিয়েছেন তিনি। ৫ বল খেলে রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। ৪২ রানে স্বাগতিকদের ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পর প্রতিরোধ গড়েন রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। হাসানকে টানা দুই ছক্কা মেরে ম্যাচে ফেরে উইন্ডিজ। তবে পরের ওভারেই ডেঞ্জারম্যান চেজকে তুলে নেন রিশাদ। ৩৪ বলে ৩২ রান করে থামেন চেজ। পরের বলেই মোতিকে ফেরান রিশাদ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও তা হতে দেননি আলজারি জোসেফ। তবে জোসেফকে পরের ওভারেই ফিরিয়েছেন তানজিম সাকিব। শেষ পর্যন্ত ১০২ রানেই থমকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। সমান দুটি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন ও মেহেদি হাসান। হাসান মাহমুদের শিকার একটি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করে ১১ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী লিটন আজও ফিরে গেছেন খালি হাতেই। ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে আকিল হোসেনের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন ফিরতেই রোস্টন চেজের বলে বোল্ড হয়ে ৪ বলে মাত্র ২ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ তামিম।

শুরুর ধাক্কা সামলে জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৩৯ রানে সৌম্য সরকার ফিরে গেলে ২৮ রানে ভেঙে যায় এই জুটি। সৌম্যের বিদায়ে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ২৬ রান করে আলজারি জোসেফের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ব্রান্ডন কিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

সৌম্য আর মিরাজের পথ ধরে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান রিশাদ হোসেনও। ৪ বলে মাত্র ৫ রান করে গুড়াকেশ মোতির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ে মাত্র ৫২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোতিকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড মেহেদী। ১১ বলে ১১ রানে ফিরলেন। রান ঠিকমতো না হওয়ায় শেষ দিকে চড়াও হতে যাচ্ছিলেন জাকের আলী। কিন্তু ১৬.১ ওভারে মেরে খেলতে গিয়ে ২১ রানে তালুবন্দি হয়েছেন তিনি। ম্যাককয়ের বলে পাওয়েলের কাছে ক্যাচ দিয়েছেন জাকের আলী। তার ২০ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছয়। 

এতে ৮৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ফলে শঙ্কা জাগে দলীয় ১০০ এর আগেই অলআউট হওয়ার। তবে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ১৭ বলে ৩৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থামে বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৫ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন গুড়াকেশ মোতি। একটি করে নিয়েছেন আকিল হোসেন, রোস্টন চেজ, আলজারি জোসেফ ও ওডেব ম্যাককয়।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে এক পরিবর্তন। আফিফ হোসেনের জায়গায় দলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কোনো পরিবর্তন নেই।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), জাকের আলী, মেহেদী হাসান, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্রান্ডন কিং, জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান, রোস্টন চেজ, আন্দ্রে ফ্লেচার (উইকেটকিপার), রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), গুড়াকেশ মোতি, আকিল হোসেন, রোমারিও শেফার্ড, আলজারি জোসেফ ও ওবেদ ম্যাকয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *