• ঢাকা
  • বৃহঃস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৫ , বিকাল ০৪:০৬
  • ১ কার্তিক, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অপরাধ

কড়াইল টিএনটি বিটিসিএল খাইরুলের কর্মকাণ্ড দলীয় প্রভাব দেখিয়ে বিটিসিএল কর্মচারীদের হুমকি

রিপোর্টার : দৈনিক গণমানুষের বাংলাদেশ
কড়াইল টিএনটি বিটিসিএল খাইরুলের কর্মকাণ্ড দলীয় প্রভাব দেখিয়ে বিটিসিএল কর্মচারীদের হুমকি ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

সিনিয়র রিপোর্টার্  হাবিব সরকার স্বাধীন : রাজধানীতে চলছে দখলদারিত্ব আজ থেকে ঠিক আটমাস আগে গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচই অগাস্টের ওই ঘটনার তিনদিন পর শপথ গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।নতুন এই সরকারের হাতে গত আট মাসে প্রশাসনের শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদলের ঘটনা ঘটেছে, যা এখনও চলমান আছে। সেইসঙ্গে, দেশের আর্থিক খাতসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে সংস্কার উদ্যোগ।


স্থানীয় জনপ্রতিধিদের অপসারণ করে তাদের জায়গায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। ব্যাংকখাত সংস্কারে সিদ্ধান্ত হয়েছে আলাদা কমিশন গঠনের। সেই সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, অনিয়ম-জালিয়াতির ঋণ ও পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার।কর্মবিরতি ও হামলার ভয় কাটিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছে পুলিশ। পোশাক ও লোগো পরিবর্তনসহ নানান সংস্কারের মাধ্যমে বাহিনীকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলার কথা বলছে নতুন সরকার।হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আমলের এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে হচ্ছে একের পর এক মামলা হতে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে।স্থানীয়দের  অভিযোগ  স্বার্থবাদী সুবিধাবাদী দুই নৌকার  মাঝিরা মামলা ও  অভিযোগ কোথাও তাদেরকে ঝামেলা পোহাতে হয়নি। এখনো সবারই সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলছে তাদের দখল বাণিজ্য। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা স্থানীয়  আব্দুর রাজ্জাক খান এর ব্যবসায়িক পার্টনার খাইরুল ইসলাম।আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে কাঠের চশমা পড়িয়ে দখলদারিত্ব করছেন। সরজমিনে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে খাইরুলের নানান আমলনামা  প্রকাশ করা হলো। মাঠ কাপানো আওয়ামী লীগ নেতার সাথে দীর্ঘ ২০ বছর তার সাথে  ঠিকাদারী কাজ করে আসছে খাইরুল। তবুও তার বিরুদ্ধে নেই কোন জিডি নেই কোন অভিযোগ। এখন তিনি লেবাস পাল্টিয়েছেন।  নামধারী বিএনপি নেতা  তথ্যসূত্র পাওয়া খবর।


কড়াইল ইউনিট বিএনপির সভাপতি। ৫ই আগষ্ট এর আগের বছরগুলিতে খাইরুল ইসলাম ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিশনার মফিজুর রহমানে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা স্থানীয়  আব্দুর রাজ্জাক খান এর ব্যবসায়িক পার্টনার দীর্ঘ ২০ বছর তার সাথে  ঠিকাদারী কাজ করে আসছে । গত ১৮সাল হতে বিএনপির  সাধারণ  কর্মীরা সহ বাসায় থাকতে পারতো না । তখন থেকেও  খাইরুল বুক ফুলিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও দখলদারিত্ব লিপ্ত ছিল।  খোজ নিয়ে দেখা যায় নিজে বাঁচার জন্য আওয়ামী লীগের সাথে গোপনে হাত মিলিয়ে এসমস্ত সুবিধা নিয়েছে। বিএনপির মিছিল মিটিং করতো । বিএনপি নেতাকর্মীর  লিস্ট  দিত তিনি।স্থানীয়দের অভিযোগ ইউনিট বিএনপির সভাপতি হয়েও একটা মামলাও তার নামে হয়নাই কেন?আবারো  ৫ আগস্টের পরে  টাকা  কামানোর নেশায় বেপরোয়া হয়ে উঠেপড়ে লেগেছে তিনি। তার উদাহরণ তার প্রথম কাজ সে বিটিসিএল এর একজন সাধারণ কর্মচারী ৫ম শ্রেণী পাস না করা একজন কর্মচারী ডিপার্টমেন্টের বিসিএস ক্যাডার অফিসারকে ভয় ভিতি ও হুমকি দিয়ে একটি অঞ্চলের ইন্সপেক্টর (সি আই) পদ বাগিয়ে নেয়  তিনি।  যোগ্যতা না থাকা সত্যেও অফিসারকে বাধ্য করে তাকে উক্ত পদ দেওয়ার জন্য। খাইরুল ইসলামের কয়েকটি অপকর্মের কাজের সূত্র তুলে ধরা হলো কড়াইল এলাকার যুবলীগ নেতার বোনের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ। তার ভাই আলম মোল্লা বিটিসিএল এ চাকরিরত । সরকারিভাবে অপসারণ করে কিন্তু দেখা যায় ৫ তারিখে আগে । শেখ সেলিম  ডি বিল্ডিং এর অফিসার  ডিজিএম  বদরুদ্দোজাকে  ফোন করে  উঠিয়ে  দিতে বলে । কিন্তু  অফিসের সিদ্ধান্ত  ডিজিএম  শেখ সেলিম কে বলে  স্যার এটা সরকারি জায়গা এটা কোনভাবেই সম্ভব না। কোনভাবেই উঠাইতে পারে নাই ।৫ তারিখের পরে  এই খাইরুল ইসলাম ও তার সহযোদ্ধা  আব্দুল করিম বাবুল অর্থের বিনিময়  ঘর 


 তুলে দেয় । বিল্ডিং অফিসে  খোঁজ নিলে  তার প্রমাণ জানা যায়

৫ই আগষ্টের কিছুদিন পরেই টেলিযোগাযোগ  অধিদপ্তরের ডিজিএম জিহাদুল আলমকে  হুমকি দিয়ে বিটিসিএল কলোনি  জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক পদে যুক্ত হয়। বিটিসিএল এ কর্মরত  কর্মচারী  মহিউদ্দিন  আওয়ামী লীগ করার কারণে তার সরকারী যায়গায় নির্মিত ঘর দখল করে নেয়। এবং ভাড়া দিয়ে বিলাসিতার জীবন শুরু করে । তারপর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।জানা যায়  লোকাল অনলাইন পত্রিকায়  মহিউদ্দিনের ফেইসবুক আইডিতে  এ নিযে অনেক লেখালেখি হয়।কোন ফল কাজে আসেনি । এক পর্যায়ে মহিউদ্দিনকে চাপ দেয় ও চাকরি চ্যুত করবে বলে হুমকি দেয়। মহিউদ্দিনের কাচাঘর ২ লক্ষ টাকা ধার্য করে লিখে নেয় এবং তা ৫ লক্ষ টাকায় আর এক কর্মচারীর কাছে বিক্রি করে। কিছু টাকা  বিটিসিএল এর সি বি এ’র সভাপতি।  হানিফ এর কাছে  পাঠানো হয় বাকি টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়।

 বিটিসি এর কর্মচারী পরান, আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা তার ঘরের পাশে খালি জায়গায় ঘর উঠিয়ে নিতে সাহায্য করে এবং এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় । মহাখালী  বিটিসি এর কলোনিতে সাবেক টি এন্ড টি এর  একটা ট্রেনিং সেন্টার ছিল । একসময়  বিটিসিএল এর  বিল্ডিং মেনটেনেন্সের অফিস ছিল সেই ট্রেনিং সেন্টারকে  খাইরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা মিলে ৫০ থেকে ৭০ টা রুম ভাড়া দিয়ে  সরকারি গ্যাস পানি কারেন্ট ব্যবহার করে  সরকারি স্থাপনা ভাড়া দিয়া মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ইতিমধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলাও হয়েছে অনেক বার তার পরে মিলে মিশে কাজ করেন সবাই ওইখানের কেয়ারটেকার হিসাবে দায়ীত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের এক নেতাকে দিয়েছে তার নাম তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ স্থানীয়দের অভিযোগ । এর সকলে মিলে এই কলোনীতে অবস্থানরত প্রায় ১৮ শত কাঁচা ঘর আছে। সেখানে অবৈধভাবে  গ্যাস  সংযোগ  দিয়ে মাসে প্রায় ১০  লক্ষ টাকা  চাঁদা আদায় করে আসছে বলে জানা গেছে।আমাদের অনুসন্ধান চলমান চোখ রাখুন পরবর্তী সংবাদে।




বাংলাদেশ

সারাবাংলা

আওয়ামী লীগ

বিএনপি

আরও পড়ুন