• ঢাকা
  • বৃহঃস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৫ , বিকাল ০৪:০৬
  • ১ কার্তিক, ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অপরাধ

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি শামিমের ছত্রছায়ায় বহুরূপী ফোরকানের তাণ্ডব: আতঙ্কের নগরে পরিণত হয়েছে কাকড়াবুনিয়া

রিপোর্টার : দৈনিক গণমানুষের বাংলাদেশ
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি শামিমের ছত্রছায়ায় বহুরূপী ফোরকানের তাণ্ডব: আতঙ্কের নগরে পরিণত হয়েছে কাকড়াবুনিয়া ই-পেপার/প্রিন্ট ভিউ

‘সন্ত্রাস, দখল, মাদক, চাঁদাবাজি ও প্রশাসনিক দুর্নীতির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক আওয়ামী লীগ নেতা ফোরকান এখনো গ্রেফতার বহির্ভূত’


নিজস্ব প্রতিবেদক | মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৫নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে এখন একটাই নাম—মোঃ ফোরকান মিয়া। স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে নিজেকে রাজনীতির ছায়ায় আড়াল করলেও, বাস্তবে তিনি এলাকাবাসীর কাছে সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও নারী-পুরুষ নির্যাতনের ভয়াল এক মুখোশধারী দানব।


ক্ষমতা হারিয়েও তাণ্ডব থামেনি, বরং বেড়েছে!


সরকার বদলের পর যেখানে রাজনৈতিক অপশক্তির দমন হওয়ার কথা, সেখানে ফোরকান মিয়া আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার নিয়ন্ত্রিত ‘গুন্ডাবাহিনী’ প্রতিনিয়ত হামলা, জমি দখল, ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া ও নারীদের গালিগালাজ করে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখছে।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—


দিনদুপুরে হামলা চালিয়ে রান্নাঘর, গরুর ঘর, ফলজ গাছ ভেঙে দেওয়া হয়।


ভিডিও ধারণ করতে গেলে হুমকি, দা-রামদা হাতে ধাওয়া করে হত্যা চেষ্টা করে।


প্রবীণ মানুষ ও নারী সদস্যদের গালি ও শারীরিক নিপীড়ন করে ঘর থেকে বের হতে দেয় না।


থানায় মামলা দিয়েও নেই প্রতিকার: পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাত ও দুর্নীতির অভিযোগ


একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেও ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। অভিযোগের তীর সরাসরি মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিম এবং তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম-এর দিকে। স্থানীয়দের ভাষ্য—এই দুই কর্মকর্তা ফোরকানের কাছ থেকে নিয়মিত ঘুষ গ্রহণ করে তার অপরাধসমূহ আড়াল করছেন এবং বিচারপ্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছেন।


একাধিকবার অভিযোগকারীদের অজ্ঞাতে একতরফাভাবে বিবাদীর সঙ্গে মিটিং করেছেন এসআই নুরুল ইসলাম। আর সেই মিটিংয়ের কয়েক ঘণ্টা পরেই ফোরকান বাহিনী হামলা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাঙচুর করে গেছে।


ফোরকান: মাদক সম্রাট, দখলের দেবতা, চাঁদাবাজির রাজারাজা


এলাকাবাসীর বর্ণনায়—


তিনি একজন মাদক সম্রাট, যার নির্দেশে চলাচল করে মাদক সিন্ডিকেট।


বড় বড় সরকারি টেন্ডার ভাগ করে নেওয়া, এলাকার ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর চাঁদা চাপানো,


সাধারণ কৃষকের জমি দখল করে পাকা দালান নির্মাণ,


এবং এসব টাকায় বিলাসবহুল বাংলো নির্মাণ ও লাখ টাকা দামের কোরবানির পশু—এতটাই অর্থবিত্তের জোর যে সাধারণ মানুষ তার সামনে কথা বলতেও ভয় পায়।


নীরব প্রশাসন: ভয়াবহ নৈরাজ্যের প্রতিচ্ছবি


প্রতিনিয়ত অপরাধ, একাধিক মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও ফোরকানকে আজও গ্রেফতার না করায় প্রশাসনের ভূমিকা স্পষ্টত প্রশ্নবিদ্ধ। মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই প্রশ্ন—ওসি শামিম কি ফোরকান মিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার রক্ষক হিসেবে কাজ করছেন?


ভুক্তভোগীদের মুখে আতঙ্ক ও অপমান


জনগণের জোরালো দাবি: তদন্ত কমিটি ও বিচার হোক


স্থানীয়দের দাবিগুলো হলো:


অবিলম্বে ফোরকান মিয়াকে গ্রেফতার করা হোক,


তার বিরুদ্ধে থাকা সকল অভিযোগ ও মামলা পুনরায় তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক,


ওসি শামিম ও এসআই নুরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হোক,


কাকড়াবুনিয়ায় প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার করে শান্তিপূর্ণ বসবাস নিশ্চিত করা হোক।


(বিঃদ্রঃ: প্রতিবেদনে ব্যবহৃত বক্তব্য ও তথ্য স্থানীয় জনসাধারণ ও ভুক্তভোগীদের সরাসরি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সংগৃহীত)।


বাংলাদেশ

রাজনীতি

সারাবাংলা

আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ

অপরাধ

পটুয়াখালী

আরও পড়ুন